রাজপথই আমাদের ঠিকানা : নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা কোনো অসাংবিধানিক কাজ করছি না। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে আজ রাজপথে নেমেছে। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ অবস্থান করব। পুলিশ যেন আমাদের উসকানি না দেয়।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করার পর হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নোমান বলেন, ‘আজকে রাস্তায় নামাটা অসাংবিধানিক নয় এবং আইনবিরোধীও নয়। জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ, চাল, তেল জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধীদলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করার অধিকার আমাদের আছে।’
সরকারের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনুন। এবং দেশ চালাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দিন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে নোমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করছি। এটা সংবিধানবহির্ভূত নয়। তাই আপনাদের আহ্বান জানাব, আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা না দিয়ে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দিন। আপনাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের উসকানি প্রত্যাশিত নয়।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হাইকোর্টের দিকে অগ্রসর হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মিছিলটি হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় হাইকোর্ট থেকেও বিএনপিপন্থী আইনজীবীসহ অনেকেই মিছিলে যোগ দেন।
মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটসহ আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
দুপুর ২টার দিকে পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মৎস্য ভবন থেকে এসে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে মিছিল থেকে কয়েকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন হয়ে চলে যায়।