‘জমিদারের বংশ’ দাবি করে দেওয়া বক্তব্যে জামায়াতনেতাকে অব্যাহতি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমির সিরাজুল ইসলামকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ‘জমিদারের বংশ’ দাবি করে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে তাকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) উত্তর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল ইসলামকে এই অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জামায়াতনেতা সিরাজুলকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাটহাজারী আসনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টম্বর) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জামায়াতের এ নেতা সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার এই বক্তব্যকে ঘিরে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পতির ওপর প্রতিষ্ঠিত, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে— এটা আমরা মেনে নেব না।’
গত ৩০ আগস্ট মধ্যরাত থেকে পরের দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী বলে, জামায়াত মনে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়, পরস্পর পরিপূরক। এলাকাবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অতীত ঐতিহ্য ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে—এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও জোবরা গ্রামের অধিবাসী যারা আহত হয়েছেন, বাড়িঘর, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।