মাসিক সভার ব্যয় মেটাতে পাবনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চাঁদার বিজ্ঞপ্তি

দপ্তরের মাসিক সমন্বয় কমিটির সভার ব্যয় মেটাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে চাঁদা নির্ধারণ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. হালিমা খাতুন।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. হালিমা খাতুন স্বাক্ষরিত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি নভেম্বর মাসে মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মকর্তা -কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত বাধ্যতামূলক করা হয়। একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এক হাজার থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নির্ধারণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি ইস্যু তারিখ থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এই চাঁদার টাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী আরমান হোসেনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যার অনুলিপি পাবনা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. হালিমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মনজিল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে টাকা দেওয়ার জন্য যে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন চিঠি ইস্যু করে জমা দেওয়া টাকাগুলো ফেরত দিতে বলা হয়েছে। অনেকেই টাকা তুলে নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘মাসিক মিটিংয়ের ব্যয় নির্বাহ সরকারি খরচ ও দপ্তর প্রধানের বিষয়। এখানে নোটিশ করে চাঁদা নির্ধারণ করার কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’