মানিকগঞ্জ পৌরসভার মালঞ্চ এলাকায় বীথি আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা নিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে নিহত গৃহবধূ বীথি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত বীথি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের চরঘোস্তা এলাকার অটোরিকশা চালক বাবুল হোসেনের মেয়ে।

বীথির বাবা মো. বাবুল হোসেন জানান, বছরখানেক আগে মালঞ্চ এলাকার রাসেল হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। সে সময় ঘর সাজানোর সব জিনিসপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পর থেকে রাসেল তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় বেশ কয়েকবার মারধরও করেন বীথিকে। কয়েকদফা সামাজিক শালিস বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু রাসেল মাদকাসক্ত হওয়ায় তার মেয়ের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন অব্যাহত থাকে। গত রাতেও বীথির সঙ্গে রাসেলের ঝগড়া হয়েছে।

তার অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানো চেষ্টা করেন রাসেল। মানিকগঞ্জ সদর থানায় গেলে রাসেলের মামাতো ভাই আরিফ ও শরিফ তাকে এবং তার স্ত্রীর বোনজামাইকে পুলিশের সামনে মারধর করে।

বীথির খালা লাইলী আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মানিকগঞ্জ সদর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ মৃত্যুর রহস্য উম্মোচিত হবে।’