নওগাঁ শহরের বাজার এলাকায় মদ জব্দের সেই অফিসঘর পৌর কাউন্সিলর শেখ মোজাম্মেল হক মজনুর নয়। একটি কুচক্রী মহল তাঁর মানসম্মানের হানি করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলে  দাবি করেছেন ওই কাউন্সিলর।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে কাউন্সিলর মজনু এই দাবি করেন।

মজনু সাংবাদিকদের বলেন, 'ওই ঘরটি পৌরসভার কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ২ নম্বর ঘর। অনেক দিন আগে নিজের অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য পৌরসভার কাছ থেকে আমি লিখিত চুক্তিতে বরাদ্দ নিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই ঘর আবার লিটন কুমার দাস নামের অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছি।’ 

কাউন্সিল বলেন, ‘বিক্রির পর থেকে ওই মার্কেটের ঘরের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।  সেখান থেকে মদ জব্দের পর বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে খবরে আমার নাম এসেছে। যা খুবই অপ্রত্যাশিত, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’

নওগাঁ পৌর কাউন্সিলর শেখ মোজাম্মেল হক মজনু আরও বলেন, ‘আমি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার। কিন্তু শহরজুড়ে আমার সুনাম রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে বারবার নির্বাচিত করেছেন। আমি সর্বদা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি মহল হিংসাবসত সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি।’

মজনু বলেন, ‘সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছি।’

আগামীতেও মাদক নির্মূলে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পৌর কাউন্সিলর শেখ মোজাম্মেল হক মজনু।