কক্সবাজারে ধর্ষণের অভিযোগকারী এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে বিজিবির দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে আজ রোববার দুপুরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আসামি এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক।

আদালতে বিজিবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে ওই এনজিওকর্মী বিজিবির মতো একটি বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি উঠে এসেছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে মামলার শুনানি হবে।

জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া চেকপোস্টে অটোরিকশার যাত্রী ওই এনজিওকর্মীকে তল্লাশি করেন বিজিবির নারী সদস্যরা। এর মধ্যে বিজিবি সদস্যরা তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই এনজিওকর্মী।

ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে গত ১০ নভেম্বর  কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ৫০০ ধারায় ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন বিজিবির নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা। মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম।

এই চাঞ্চল্যকর মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয় আজ রোববার। আদালতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।