বিকাশের টাকা নিয়ে গুলশানে গোলাগুলি, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে গ্লোরিয়া জিন্স নামে একটি কফি শপের সামনে বিকাশে টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হলে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ।
পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু, তাঁর দুই সহযোগী মো. আরিফ হোসেন ও মনির আহমেদ।
গোলাগুলির ঘটনায় আহত গাড়িচালক আমিনুল ইসলামকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালক আবদুর রহিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল ডিসি আহাদ বলেন, ‘একটি বিকাশের দোকানে টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র গোলাগুলি হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে আরিফ নামে এক যুবক গুলশান-১ নম্বরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে একটি বিকাশের দোকানে যান। তিনি দোকানি হাবিবকে কয়েকটি নম্বর দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আরিফের কথা অনুযায়ী হাবিব নির্দিষ্ট নাম্বারগুলোতে ৭৫ হাজার টাকা পাঠান। পরে আরিফের কাছ টাকা চায় হাবিব। আরিফ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন।’
আব্দুল আহাদ আরও বলেন, ‘টাকা না পাওয়ায় আশপাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে আরিফকে আটকে ফেলেন হাবিব। খবর পেয়ে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে তাঁর ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও আবদুল ওয়াহিদ গুলশান-১–এ ঘটনাস্থলের পাশের একটি কফির দোকানে আসেন। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনকেও আটকাতে যান দোকানি হাবিবুর ও তাঁর পরিচিত দোকানিরা। এ সময় নিজের পিস্তল থেকে গুলি করেন আবদুল ওয়াহিদ। এতে রাস্তায় থাকা দুজন গুলিবিদ্ধ হন।’
আব্দুল আহাদ বলেন, ‘ঘটনার পর অহিদুল ইসলাম মিন্টুসহ আরও কয়েকজনকে আমরা আটক করেছি। তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতা, নাম পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।’