পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না শুনানি আজ

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না, সে-সংক্রান্ত শুনানি আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালতে বেলা ১১টার পর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম।
মাজহার বলেন, গত ১৭ নভেম্বর এ মামলায় পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পলাতক আসামিরা হলেন জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানীম, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম ও মুজতবা রাফিদ।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরারকে হত্যায় সরাসরি যুক্ত ছিল ১১ জন। তারাই আবরারকে কয়েক দফায় মারধর করে। বাকি ১৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে পেটানো হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তারা হলো মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে এসেছে। তাঁরা হলেন ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।