পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি না করার আহ্বান রাঙ্গার

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য (এমপি) মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মালিক-শ্রমিকরা যাতে অকারণে হয়রানির শিকার না হয় এবং আইনের অপপ্রয়োগ না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন।’
আজ শনিবার রাজধানীতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
রাঙ্গা বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। বিধিমালা ছাড়া এই আইনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।’
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মালিক-শ্রমিকরা যাতে অকারণে হয়রানির শিকার না হয় এবং আইনের অপপ্রয়োগ না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। দুর্ঘটনা মামলা যাতে ৩০৪ (খ) ধারার পরিবর্তে ৩০২ ধারায় দায়ের করা না হয়। তবে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, চালক কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করেছে, সেক্ষেত্রে ৩০৪ (খ) ধারা ৩০২ ধারায় স্থানান্তর হলে আপত্তি নেই।’
রাঙ্গা আরো বলেন, ‘দেশে কয়েক লাখ চালকের অভাব রয়েছে। এই মহূর্তে দক্ষ চালক বের করাটাও কঠিন।’ চালক তৈরির লক্ষ্যে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইনে চালকের জামিন অযোগ্য ধারায় চালক সংকট তৈরি করবে। দক্ষ চালক তৈরি ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। যদি দুর্ঘটনার পর চালক কারাগারে যায়, তারা যদি জামিন না পায়, তাহলে চালক সংকট আরো প্রকট হবে।’
এনায়েত উল্ল্যাহ আরো বলেন, ‘যেখানে সাত-আট লাখ চালক দরকার,সেখানে এ ধারা আরো সংকট তৈরি করবে। এ ছাড়া বাস মালিকদের বড় অঙ্কের জরিমানা পরিবহন খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।’ তিনি বলেন, ‘এ খাতের সেবা বাড়াতে হলে মালিককে বড় অঙ্কের জরিমানা করা যাবে না। এটা করলে খাত বাধাগ্রস্ত হবে। বড় অঙ্কের জরিমানা আইন বাস্তবায়নেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেনসহ আরো অনেকে।