নেত্রী চাইলে পদে থাকতে অনীহা নেই : ওবায়দুল কাদের

দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা চাইলে পদে থাকতে অনীহা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নেত্রী চাইলে পদে থাকতে অনীহা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদে রাখবেন কি না, সেটা তাঁর ইচ্ছা। তিনি বললে আমার দায়িত্ব পালনে অনীহা নেই। তিনি যদি বলেন নতুন কাউকে আনতে চাই, তাহলে সেটাও স্বাগতম।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ইচ্ছা নেই—এমন কথা তিনি বলেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পদে থাকা নিয়ে আমি এ ধরনের কথা বলিনি। আমি বলেছি, সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভবনা নেই। নেত্রী বারবার বিদায় নিতে চান। তিনি যেতে চাইলেও ‘যেতে নাহি দেব’, এটা কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত চিন্তাভাবনা। বাকি পদগুলোতে নেত্রী টিম নিজে সাজান। তিনি যেটা ভালো মনে করেন, তা করবেন। যেকোনো পদে পরিবর্তন হতে পারে, নেত্রী দলের স্বার্থে করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই। তিনি যা করবেন, একবাক্যে সবাই মেনে নেবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষোভ, দুঃখ-বেদনা নেই। এমন কিছু এ পর্যন্ত কখনো হয়নি, এবারও হবে না আশা করি।’
দায়িত্ব পালনে কোনো অপূর্ণতা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো ট্র্যাকে চলে আসছে। দলেও আমাদের কিছু সিস্টেম আছে, বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আছেন, কাজেই কোনো সমস্যা তো হয়নি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সব দিনই এয়ারপোর্টে ফাইল সই করছি। কোনো কাজ অপূর্ণ থাকছে না। কোনো প্রয়োজনে সচিবরা তো আছেনই, তাঁরা ফোন করলে নির্দেশনা দিই। আমি কোনো চাপের মুখে নেই, কোনো অসুবিধা ফিল করছি না। অসুস্থতার জন্য যেটা হয়ে গেছে, সেটার ওপর আমার হাত নেই। সার্বিকভাবে আমি যথেষ্ট উপভোগ করছি।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি ভালো। জেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সম্মেলনের কাজ শেষ করেছি। সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর সম্মেলন হবে ঝালকাঠি জেলার। এ ছাড়া কিছু সম্মেলন হবে। ১৩ তারিখ হবে গোপালগঞ্জের সম্মেলন। মোট ২৫-৩০টি সম্মেলন হয়ে যাবে। বাকিগুলোর সময় সেভাবে শেষ হয়নি। এখন সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন করা হচ্ছে, বাকি পূর্ণ কমিটি পরে অনুমোদন দেওয়া হবে।’