পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, কুলাঙ্গার ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করলেই সমাজকে ধর্ষণমুক্ত করা যাবে না। ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। ধর্ষকদের পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন জনসমক্ষে ধর্ষকদের বর্জনের ঘোষণা না দিলে তাদেরও বয়কট করতে হবে।

আজ রোববার মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ১২৯টি পূজামণ্ডপে সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বৈশ্বিক এ মহামারিকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গোৎসব উদযাপনের জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘জীবন রক্ষা করেই আমাদের সব ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার সব সময় জনগণের পাশে আছে। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সব সময় অসহায় ও দরিদ্র জনগণের পাশে থেকে সাহায্য করেছে। ফলে কেউই না খেয়ে থাকেনি।’

অনুষ্ঠানে অসহায় ও কর্মহীন ২০০ পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, নুডলস, সয়াবিন তেলসহ ১৭ কেজি ওজনের শুকনা খাবারের প্যাকেটও বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তিন কোটি ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৭৮৮ বর্গফুট আয়তন এবং বন্যার সময় ৪০০ জন মানুষ ও ১০০ গবাদি পশু আশ্রয় প্রদানের সক্ষমতা সম্পন্ন পাকশাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ধর্ষকদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। ধর্ষকদের আইনি সহায়তা না দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজউদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, বড়লেখা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।