ত্বকী হত্যা মামলার আসামি ভ্রমরের আত্মসমর্পণ

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ বুধবার দুপুরে বিচারক মো. কাওছার আলমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রোজিনা আক্তার রীতা এসব তথ্য জানান। এ মামলায় দীর্ঘ আট বছরের তদন্তে ভ্রমরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।
আসামি ভ্রমর নারায়ণগঞ্জের অন্যতম শিল্পপতি হাজি মো. সোহরাব মিয়ার ছেলে। তার মা মেহের নিগার মিতা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৫ সাল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ মার্চ ত্বকীর লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন হিসেবে ভ্রমরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বরে ভ্রমর ১৬৪ ধারায় তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি অনুযায়ী, র্যাব সদস্যরা ওই বছরের ৭ আগস্ট নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের উইনার ফ্যাশনের অফিসে অভিযান চালায়। ওই অফিস থেকে র্যাব রক্তমাখা প্যান্ট, লাঠি ও রশি উদ্ধার করে।
ভ্রমর তাঁর জবানবন্দিতে ত্বকী হত্যার দীর্ঘ বর্ণনা দেন। তিনি সংসদ সদস্যের ছেলে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জন হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানান। পরে র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়। অবশ্য ভ্রমর পরে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে নিখোঁজ হন। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনীর পাশের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।