গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কটিয়াদীতে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় গত শনিবার স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে পুলেরঘাট বাজারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুলেরঘাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান সরকারি খাস জমিতে অনৈতিকভাবে নিজ স্ত্রীর নামে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করছেন। ক্লিনিক নির্মাণের নামে এলাকায় বিশৃঙ্খখলা ও অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে বিরোধের কারণে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিবের লোকজনের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও উল্টো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে কটিয়াদী-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের কর্মীসমর্থকদের নামে।
বক্তারা গত শনিবারের ঘটনার জন্য স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নানকে দায়ী করে এবং মামলাকে মিথ্যা দাবি করে অবিলম্বে গ্রেপ্তাকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় বড় কর্মসূচি পালনসহ স্বাস্থ্যসচিবকে এলাকায় প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লা সিদ্দিক মাসুদ, কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিলন, কটিয়াদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ পাভেল, পাকুন্দিয়ার নারান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদাসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।
গত শনিবার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নানের বাড়ি ও নির্মাণাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমসহ কয়েকজন আহত হন। হামলার সময় স্বাস্থ্যসচিব তাঁর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। পরে এ ঘটনায় কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে প্রত্যাহার করা হয় এবং দুই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।