খোকার মরদেহ দেশে আনতে সব সহায়তা করব : কাদের

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ দেশে আনার ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মৃত মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো কিছু নেই। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁকে যদি আনতে চান, ওখানে (নিউইয়র্ক) যদি সরকারিভাবে কোনো সমস্যা না হয় আমাদের তো সমস্যা বা অসুবিধা নাই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অলরেডি মিডিয়াকে বলেছেন বিষয়টি।’
সরকারের সহযোগিতা থাকবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অসহযোগিতা থাকবে না।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নুরুল আমীন বেপারী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।
সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই বাবার পাশে থাকতে নিউইয়র্কে যান ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর সদস্য সাদেক হোসেন খোকা ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা।
সেখানে অবস্থানকালে বিএনপির এই নেতার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় গতকাল রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক মেয়রের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তার কিছু পরেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।