কুষ্টিয়ায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এদিকে, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল গতকাল শুক্রবার থেকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল নামে যাত্রা শুরু করেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে এখনও প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘২০০ শয্যাকে করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বাকিগুলোও করা হবে।’

এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ২০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়েছেন।

এ ছাড়া, আগের ৪০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন মজুত রয়েছে জানিয়ে আরএমও তাপস কুমার বলেন, ‘কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রোগীর সংখ্যা উদ্‌বেগজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালের অন্য রোগীদের কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, কুষ্টিয়ায় কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছেন।

অস্বাভাবিক হারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় গত ২০ জুন মধ্যরাত থেকে আগামীকাল ২৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন।