কুলিয়ারচরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় নিজ বাড়ির কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সময় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন। আজ বুধবার দুপুরে স্থানীয় ডুমরাকান্দা বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য সরকারি নির্দেশে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রাইভেট ও কোচিংয়ে পড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি সেই নির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট পড়ানোর অজুহাতে উপজেলার দড়িগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া উপজেলার পূর্ব আব্দুল্লাহপুরে তাঁর নিজ বাড়িতে একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সময় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। এর আগে তিনি কৌশলে কোচিং সেন্টারের অন্য শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে একা পেয়ে ওই ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন করেন।
গত ৯ জুন সকালে ঘটনাটি ঘটার পর নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মহর উদ্দিনকে জানালে তিনি সেলিম মাস্টারকে ক্ষমা চেয়ে এই স্কুল থেকে অন্যত্র বদলি হওয়া এবং আর কখনো প্রাইভেট না পড়ানোর অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে মীমাংসার কথা জানান। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার এতে সম্মতি দেয়নি।
ব্যর্থ হয়ে অভিযুক্ত সেলিম মাস্টার একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু ছাত্রীটির পরিবার প্রভাবশালীদের চাপের কাছে মাথা নত না করে বিষয়টি সবাইকে জানায়।
আজ বুধবার সকালে নির্যাতিতার বাবা অভিযুক্ত সেলিম মাস্টারকে প্রধান এবং অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী অপর তিন সহযোগীকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা সেলিম মাস্টারসহ মামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য রুমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য দ্বীন ইসলাম, বর্তমান ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।