কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন আজ সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১১ নভেম্বর রাতে বাজিতপুর পৌর এলাকার পশ্চিম বসন্তপুর সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা থেকে পিবিআইয়ের একটি দল আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে। বাজিতপুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ওমর চান ওরফে সাচ্চু (৩২) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে নেওয়া হলে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ২৭ জুন ঈদের দিন রাতে বাজিতপুর পৌরসভার পশ্চিম বসন্তপুর এলাকায় বাড়িতে ঢুকে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাচ্চুর বুকে ও পেটেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হলে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৯ জুন সাচ্চু মারা যান।

এ ঘটনায় সাচ্চুর ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে হেলিম নামের একজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

পোলট্রি ফিড ব্যবসায়ী সাচ্চু বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে।

মামলার একপর্যায়ে পিবিআইয়ের তদন্তে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহ হলে নান্টু মিয়া (২৮) ও আল-আমিন (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নান্টু মিয়া ও আল-আমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নিহত সাচ্চুর ছোট ভাই লায়েছ মিয়ার (২৮) সঙ্গে আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরোধ থাকার বিষয়টি জানা গেলে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নান্টু মিয়া ও আল-আমিন স্বীকারোক্তিতে জানান, আবদুল্লাহ আল মামুন এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁর নির্দেশে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁরা লায়েছ মিয়াকে খুন করতে যান এবং ভুলবশত বিছানায় মশারির ভেতর ঘুমন্ত সাচ্চুর ওপর হামলা চালান।