কিশোরগঞ্জে গত মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক হাজার ৮০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পল্লব সরকার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলাটি করেন। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব দিদার হাসান বাপ্পী, ছাত্রদল নেতা হাসিবুর রহমান ও আলম।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেদোয়ান আহমেদ ওয়াকিউর, সহ-সভাপতি সায়েদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী তৌকি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিশাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, সরকারি গুরুদয়াল কলেজ শাখা আহ্বায়ক তকবীর রকিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উবায়দুর রহমান শাকিল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।

বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছাড়াও গত রোববার দলটির জেলা ও সদর উপজেলা শাখার দুটি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আনুমানিক ৫০০টি রাবার বুলেট ও ৬০টি টিয়ার গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।