কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

নারায়ণগঞ্জে করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত যুবদলনেতা কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ফতুল্লা থানায় এই মামলা করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা সাঈদা আক্তার ওরফে শিউলি।
মামলায় খোরশেদ ছাড়াও ফেরদৌসি আক্তার রেহেনা নামের এক নারীকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান।
বাদী শিউলি মামলায় নিজেকে খোরশেদের স্ত্রী দাবি করে বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই খোরশেদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত তাদের যোগাযোগ হয়। দুজনের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়। একপর্যায়ে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সাঈদাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে গত বছরের আগস্ট মাসের ২ তারিখে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে সাঈদাকে বিয়ে করেন খোরশেদ। বিয়ে সম্পন্ন হয় সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনে। তারপর তাঁরা দুজন এক সঙ্গে থেকেছেনও।
মামলার বাদী শিউলি প্রথম স্বামীকে আগেই ডিভোর্স দিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলেমেয়ে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী।
বাদী আরও বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে বেশিরভাগ সময় তাঁকে দেশের বাইরে থাকতে হয়। গত মাসের ২৪ তারিখে বাদী শিউলি বিদেশে অবস্থান করার সময় তাঁর স্বামী খোরশেদ ফেসবুক লাইভে বাদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন এবং বাজে মন্তব্য করেন। একদিন পর ফেরদৌস আক্তার রেহেনা নামের এক নারী খোরশেদের বাসায় লাইভে এসে সাঈদাকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
দুটো বিষয়ই দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় সাঈদা তাঁর এক বান্ধবীর কাছে জেনে পরে তাদের আইডি থেকে পুরো বিষয়টি দেখেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।