ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক ও পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায়।

আজ শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এবং মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ দেখা দেয়।

একসঙ্গে অধিক গাড়ির চাপের কারণে টোল প্লাজার আশপাশে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির ধীর গতি দেখা যায়। তবে, গাড়ির ধরন অনুযায়ী টোল আদায়ের লাইন নির্দিষ্ট করায় অল্প কিছু সময় অপেক্ষা করে যানবাহন পাড়ি দিতে পারছে মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু।

অপরদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভোর থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। তবে, সেতু কর্তৃপক্ষ নির্বিঘ্নে টোল আদায় ও নিরাপত্তার জন্য অধিক লোকবল নিয়োজিত করেছে।

পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবগুলো বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। একসঙ্গে অনেক গাড়ি আসায় একটু চাপ বেড়েছে, তবে এটি স্বাভাবিক। গাড়ি, বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ির লাইন আলাদা করায় নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছে।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘টোল আদায়ের জন্য   রাতভর পাঁচটি লাইন সক্রিয় থাকলেও ভোর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ঢাকা থেকে মাওয়ামুখী সাতটি লেন এবং মাওয়া থেকে ঢাকামুখী তিনটি লেন চালু রয়েছে। তবে, ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় কী পরিমাণ গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে বা কত কিলোমিটারজুড়ে গাড়ির ধীরগতি তা বলা মুশকিল।’