বাংলা একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট চিন্তক ও লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, “ব্রিটিশরা আসার পর স্কুল-কলেজের শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকায় বাঙালি মুসলমান সমাজ ১০০ বছর পিছিয়ে যায়‌। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়া তথা শিক্ষার বিকল্প নেই।”

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে বুক অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এ কথা বলেন।

বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মাহফুজ ফারুকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গবেষক ও লেখক ড.  কাজল রশীদ শাহীন, লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ‘এবং বই’য়ের সম্পাদক ও লেখক ফয়সাল আহমেদ এবং ‘স্বরে অ’ প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য দেন বুক অলিম্পিয়াড বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেঁজুতি হাসান।

বুক অলিম্পিয়াডের মধ্যমে দেশ সেরা পাঠক হিসেবে জাতীয় পর্বে প্রথম স্থান অধিকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার মিম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতা বিশ্বাস ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও বই তুলে দেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথিদের বই দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা, লেখক কথন, উপস্থিত কুইজ, অনুভূতি প্রকাশসহ বই বিষয়ক বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসব পর্বে বক্তব্য দেন পরিবেশ বিষয়ক লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং কবি ও কথাসাহিত্যিক মনোয়ার লিটন। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উপস্থাপনা করেন বুক অলিম্পিয়াডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এইচ খান রোহান, সদস্য সৌরভ মন্ডল ও সাদিয়া আফরিন। সারাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা বাছাই পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শতাধিক বিজয়ীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্ব।

অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত বই আল মাহমুদের ছড়া-কিশোর কবিতাগ্রন্থ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘আম আঁটির ভেঁপু’, জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘ময়ূরাক্ষী’, মাহফুজ ফারুকের লেখা ‘বুকপিডিয়া’ ও ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত লিটলম্যাগ ‘কালের ধ্বনি’র জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কবি ও লেখক সংখ্যা পাঠ শেষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।