মধ্যরাতের ফলাফলে এগিয়ে ট্রাম্প

ঐতিহ্যগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রথম ভোটবাক্স খোলা হয় নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ছোট্ট গ্রাম ডিক্সভিল নচে। সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু হয় মধ্যরাত থেকে। আর এই মধ্যরাতের ভোটের ফলাফলেই ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পেছনে ফেলে শুভ সুচনা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ডিক্সভিল নচসহ ঐ এলাকার আরো তিনটি শহরে চালু আছে এই মধ্যরাতের ভোট। ব্যতিক্রমী এই নিয়মের কারণ এলাকাটির জনসংখ্যা। জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে বিশেষ নিয়ম অনুয়ায়ী মধ্যরাত থেকেই এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ১০০ জন ভোট দিতে পারেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের হার্টস শহরে ১৯৪৮ সাল থেকে এই মধ্যরাতের ভোটের প্রথা চালু হয়েছিল। ডিক্সভিল নচে ১৯৬০ সালে এই নিয়ম চালু হয়। আর এই মধ্যরাতের ভোটেই নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারির চাইতে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প, ফল ৩২-২৫।
প্রথা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডিক্সভিল নচ এলাকার ভোটের ফল প্রথমে ঘোষনা করা হয়। আর এবারের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেখা যায় ডিক্সভিল নচের মোট ১২ জন বাসিন্দার মধ্যে ৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আর সেখানে চারটি ভোট পেয়েছেন হিলারি, দুটি পেয়েছেন ট্রাম্প। লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্রে জনসন পেয়েছেন একটি ভোট।
ডিক্সভিল নচের এই ফলাফলে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে দুই ভোটে এগিয়ে যান। এরপর পাশের শহর হার্টসে গিয়ে হিলারি ১৭ ভোট পান, বিপরীতে ট্রাম্পের ঝুলিতে ঢোকে মাত্র ১৪ ভোট। ফলে এই দুই এলাকা মিলে হিলারির সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান দাঁড়ায় ৫ ভোটের।
কিন্তু হার্টসের লাগোয়া শহর মিলসফিল্ডে গিয়েই কি না ট্রাম্পকার্ড মেরে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পান ১৬ ভোট। বিপরীতে হিলারির ভোটের সংখ্যা মাত্র চারটি! এবারে তিনটি এলাকা মিলিয়ে ডেমোক্রেটদের ভোট দাঁড়ায় ২৫টি। আর ট্রাম্পের ৩২। এই হিসাব নিয়ে নির্বাচনের প্রথম ফলে এগিয়ে থেকেই শুরু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগাম ভোটেরও রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। জানা গেছে, ২০ কোটি ভোটারের মধ্যে এবার ৪ কোটি ২০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। ২০১২ সালে ৩ কোটি ২৩ লাখ ভোটার আগাম ভোট দেন।
তবে এটা ঠিক যে শুধু নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্যতিক্রমী এ ক’টি ভোটের ফল দেখে সাড়ে ১৪ কোটি ভোটের ফল সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন। একই সঙ্গে এটাও দেখার বিষয় যে নিউ হ্যম্পশায়ারে ডেমোক্রেটদের দুর্ভেদ্য দূর্গ থেকেও নিজের পক্ষে ভোট টেনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাকে শুরু থেকে বটেই, এমনকি নির্বাচনের ক’দিন আগেও একেবারেই অযোগ্য প্রার্থী বলে প্রচার করেছিল ডেমোক্রেট শিবির। সেই প্রার্থী মর্যাদপূর্ণ মার্কিন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কতটুকু লড়তে পেরেছেন তা জানা যাবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল দুপুরের মধ্যেই।