মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলিদের ভালোই সমর্থন পেয়েছেন। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলের সমর্থক গ্রুপের এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। বক্তৃতা শেষে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় বুঝিয়ে দেয় তাদের মধ্যে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। 

গতকাল সোমবার রাতে আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার কমিটির সম্মেলনে হাজির হন ট্রাম্প। সেখানে বক্তৃতার ধরনই পাল্টে ফেলেন তিনি। আগে লেখা পরিমার্জিত বক্তব্য পড়েন ট্রাম্প। 

ইসরায়েলি গ্রুপের সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইসরায়েলকে ভালোবাসেন। তাঁকে নির্বাচিত করা হলে ইসরায়েলিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক থাকার দিন শেষ হবে। 

ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি আশ্বাস দেন, নির্বাচিত হলে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা হবে। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনার আগে অবশ্যই মনে রাখা হবে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কখনোই ভাঙবে না। 

সম্মেলনে ট্রাম্প নিজের মেয়ের ইহুদি ধর্ম গ্রহণের কথা জানান। আর কিছুদিনের মধ্যে ইহুদি এক নাতি হচ্ছে তাঁর। 

জানা গেছে, ট্রাম্প যখন মিলনায়তনে প্রবেশ করেন তখন হাততালির শব্দ ছিল সীমিত। তবে ২৫ মিনিটের ভাষণ শেষে অধিকাংশ মানুষ দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। 

ইসরায়েলি সম্মেলনে বক্তৃতার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প তাঁর বক্তৃতার ধরনে বেশ পরিবর্তন এনেছেন। ওই বক্তৃতায় বারাক ওবামা ও নেতানিয়াহুর পদ ধরেই সম্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়া বাড়তি কথা বা বিদ্রূপ কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এর মানে হলো নিজেকে আলাদা বলে এতদিন দাবি করা ট্রাম্প প্রথাগত রাজনীতিবিদদের পথেই হাঁটছেন।