ষাঁড়ের দাম সাত কোটি রুপি!

দশাসই ষাঁড়। এটি লম্বায় প্রায় ছয় ফুট, আর ওজন এক হাজার ৬০০ কেজি। কালো পেঁচানো শিংয়ের ষাঁড়টিকে ডাকা হয় ‘যুবরাজ’। সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদের সরদার উৎসবে ষাঁড়টির দাম উঠেছে সাত কোটি রুপি।
মজার বিষয় হলো, সাত কোটি রুপি কেন, এর চেয়ে বেশি দামেও যুবরাজকে বিক্রি করতে রাজি নন এর মালিক করমবীর সিং। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কুরুক্ষেত্রের বাসিন্দা করমবীরের খুবই প্রিয় এই ষাঁড়।
হায়দরাবাদের ‘সরদার উৎসব’-এ যুবরাজকে নিয়ে হাজির হন করমবীর সিং। সেখানেই চন্ডিগড়ের এক কৃষক যুবরাজকে সাত কোটি রুপিতে কিনতে চান। তবে প্রিয় ষাঁড়টি বিক্রিতে কোনো আগ্রহই দেখাননি করমবীর।
যুবরাজকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছাই নেই দাবি করে করমবীর সিং বলেন, ‘সাত কোটি কেন এর চেয়ে বেশি দামেও যুবরাজকে বিক্রি করব না। কারণ যুবরাজই আমাকে উপার্জন করে দেয়।’
করমবীর যুবরাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ রুপি আয় করেন। করমবীর দাবি করেন, যুবরাজ প্রতিদিন পাঁচ মিলিগ্রাম করে শুক্রানু উৎপাদন করে। আর দশমিক ২৫ গ্রাম শুক্রানু বিক্রি হয় হাজার রুপিতে।
করমবীর সিং বলেন, ‘আমি যুবরাজকে নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করি। এটি আমার কাছে অত্যন্ত পয়া।’
যুবরাজের খাবার-দাবার, যত্ন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার কোনো ত্রুটি রাখেন না করমবীর। তিনি বলেন, যুবরাজের জন্য প্রতি মাসে লাখ লাখ রুপির বেশি খরচ করেন তিনি। যুবরাজের জন্য রয়েছে বিশেষ সব খাবারদাবার। প্রতিদিন ১০০ পিস করে আপেল খাওয়ানো হয় তাকে। আর গোখাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয় ২৫ লিটার দুধ। তার সঙ্গে থাকে তিন রকমের খাদ্যশষ্য। এ ছাড়া ডাল ও শুকনো ফল-ফলারি মিশিয়েও খাবার খাওয়ানো হয় যুবরাজকে। শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মাঝেমধ্যে ‘অ্যালকোহল’ও পান করানো হয় যুবরাজকে। প্রতিদিন নিয়ম করে দুবার এর শরীরে তেল মালিশ চলে। প্রতি সপ্তাহেই যুবরাজের শরীরের চুল কেটে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শারীরিক ব্যায়ামও করানো হয় একে। প্রতিদিন সকালে যুবরাজকে চার-পাঁচ কিলোমিটার হাঁটানো হয়।
করমবীর বলেন, হায়দরাবাদের সরদার উৎসবে যুবরাজকে নেওয়ার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ রুপি ব্যয় হয়েছে তাঁর। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে রীতিমতো এয়ার কন্ডিশন্ড গাড়িতে করে ১৫ জন মানুষের সাহায্যে যুবরাজকে এই উৎসবে নেওয়া হয়।