হেরে চলেছেন ট্রাম্প!

নির্বাহী আদেশ জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাধার মুখে পড়ছেন। দেশটির আদালত প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করছেন। এতে কার্যত সিদ্ধান্ত নিতে হেরে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সিয়াটল শহর আদালতের বিচারক জেমস রবার্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রে ওই সাত দেশের নাগরিকরা চলাচল করতে পারবেন।
বিমান সংস্থাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বলে দিয়েছে, ওই সাতটি দেশের লোকদের যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে যেন উঠতে দেওয়া হয়। এই খবর পেয়ে উপসাগরীয় বিমান সংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ বিমানে যাত্রী ওঠানো শুরু করছে বলে জানিয়েছে।
সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প।
এর আগে গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেন দেশটির আরেকটি আদালত।
এদিকে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, স্বদেশকে রক্ষা করতেই প্রেসিডেন্টের ওই আদেশ, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে রক্ষার জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রেসিডেন্টের রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করায় আদালতকে চ্যালেঞ্জ করবে হোয়াইট হাউস। সেই সঙ্গে মুসলিমবিরোধী আদেশকে ‘আইনসম্মত ও যথাযথ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে হিলারি ক্লিনটনকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি।
দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সদ্যবিদায়ী বারাক ওবামার বেশ কয়েকটি আদেশ বাতিল করে দেন। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘ওবামাকেয়ার’। এ ছাড়া মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নর্থ ডাকোটায় তেল পাইপলাইন নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও বিক্ষোভের মুখে বারাক ওবামা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিনই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এদের বেশির ভাগই নারী। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
ভোটগ্রহণের আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অনেক নারী সংবাদ সম্মেলনে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী যৌন হয়রানির মামলা করেছেন।