ডোনাল্ড ট্রাম্প কী খান?

তিনি একজনই! তাঁর সম্পর্কে বর্ণনার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি শব্দ যথেষ্ট নয়। তিনি প্রচুর টেলিভিশন দেখেন, রাত ৩টায় টুইট করতে ভালোবাসেন, আর বই পড়তে একদমই পছন্দ করেন না। তাঁর খাদ্যাভ্যাসও বিচিত্র। তিনি ডোরিটোস, কেএফসি আর বেকনের খাবার পছন্দ করেন। অথচ বয়স অনুযায়ী এই ফাস্ট ফুডগুলোই তাঁর জন্য সবচেয়ে বাজে খাবার!
পুষ্টিবিজ্ঞানী ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস দায়ী।
ঘনিষ্ঠজন ও হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের পাঁচজন বাবুর্চি আছেন। তাঁরা ট্রাম্প ও তাঁর অতিথিদের জন্য রান্না করেন।
বাবুর্চিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিন শুরু হয় শূকরের মাংস ও ডিমের তৈরি একটি মসলাদার খাবার খেয়ে। দুপুরে তিনি অন্তত তিন পদের খাবার খান।
অধিকাংশ দিনই দুপুরের খাবারে মাছ, বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের শিম দিয়ে তৈরি একটি খাবার থাকে। এ ছাড়া থাকে অন্তত একটি মিটলোফ, যা মাংস ও রুটি দিয়ে তৈরি।
রাতে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ট্রাম্প সাধারণত কেএফসির একটি বড় মুরগির মাংসের বাক্স নিয়ে বসেন। অথবা তিনি একটি পনিরমিশ্রিত চিকেন বার্গার খান। এ ছাড়া তাঁর সারা দিনের খাবারে প্রচুর পনির দিয়ে ভাজা আলুর চিপস থাকে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ট্রাম্পের খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ নামে এক ধরনের ফ্যাটি এসিড থাকে, যা গ্রহণকারীর মস্তিষ্ককে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। আর খাবারে প্রাণিজ চর্বি ও প্রোটিনের আধিক্য তাঁর আচরণ ও সিদ্ধান্তে ‘হঠকারী ও উগ্রভাব’ আনে।
পুষ্টিবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও ‘লো-ফ্যাট ডায়েট’ সিরিজের লেখক জো ট্র্যাভার্সের মতে, “তাঁর (ডোনাল্ড ট্রাম্প) শরীরে ভিন্ন কোনো চর্বি গ্রহণের প্রবণতা খুবই কম। সঙ্গে তাঁর কম পানির মতো তরল গ্রহণের প্রবণতা মস্তিষ্কের কোষগুলোর সঞ্চালন ক্ষমতা হ্রাস করে এবং এটি ‘মেজাজ বিগড়ে যাওয়া’র সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
লাল মাংস, বিশেষ করে শূকরের মাংসের প্রতি ট্রাম্পের আকর্ষণের কারণে তাঁর ক্যানসার হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন জো ট্র্যাভার্স। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার কারণে তাঁর শরীরে অন্য ধরনের রোগ সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি বলে মত দেন এই বিশেষজ্ঞ।