পুঁজিবাজারে নিরাপদ বিনিয়োগ খাত জ্বালানি

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ জুলাই থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) রয়েছে ১০ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে এই পয়েন্টে ডিএসইতে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকেরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতটির পর বিনিয়োগে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। আলোচিত এই দুই খাতের পিই রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে অবস্থান করছে। সেই হিসেবে খাত দুটিতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তবে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সিরামিক খাত।
এদিকে পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। তেমনি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খাত নিরাপদে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও শক্তি খাতটিতে পিই রেশিও অবস্থান করেছে ছয় দশমিক ২৯ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে এই খাতের পরেই বিনিয়োগ নিরাপদে অবস্থান রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের পিই রেশিও ছয় দশমিক ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। পিই রেশিও ওযুধ রসায়ন খাতের ১১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট এবং সেবা আবাসন খাতের ১১ দশমিক ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অপরদিক গত সপ্তাহে সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছিল ৫৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই খাতটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থান করেছে।
খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও বস্ত্র খাত ১২ দশমিক ১১ পয়েন্টে, নন ব্যাংক আর্থিক খাত ১২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, বিমা খাত ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে টেলিকম খাত ১৪ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, বিবিধ খাত ১৬ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, আইটি খাত ১৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ১৯ দশমিক ৭১ পয়েন্টে, মিউচুয়্যাল ফান্ড খাত ২০ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ২১ দশমিক শূন্য চার পয়েন্টে, চামড়া খাত ২৫ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাত ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্টে এবং পাট খাত ৩১ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।