জাতীয় মসজিদ
অটোমান স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন মোহাম্মদ আল-আমিন মসজিদ

মোহাম্মদ আল-আমিন মসজিদ লেবাননের অন্যতম শৈল্পিক স্থাপনা ও অনন্য নিদর্শন। এটি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থিত এবং দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে বিবেচিত। অনন্য স্থাপত্যশৈলী, বিশালতা এবং সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য এই মসজিদ বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এটি শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপাসনালয় নয়, বরং পর্যটকদের কাছেও এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
ব্রিটানিকার তথ্যমতে, মোহাম্মদ আল-আমিন মসজিদটি ব্লু মসজিদের আদলে তৈরি এবং এটি ‘বৈরুতের নীল মসজিদ’ নামেও পরিচিত। এটি লেবাননের বৃহত্তম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি।
মোহাম্মদ আল-আমিন মসজিদটি অটোমান স্থাপত্যশৈলীতে ও আধুনিক ইসলামী নকশার সমন্বয়ে নির্মিত। ১৩০ মিটার উচ্চতার দুই মিনার মসজিদের সবচেয়ে নজরকাড়া বৈশিষ্ট্য। মসজিদটির ভেতরে রঙিন মোজাইক, মেঝেতে মার্বেল ও ঝকঝকে ঝাড়বাতি পুরো পরিবেশকে করে তুলেছে অপূর্ব। এখানে নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, যা বৈরুতের সাংস্কৃতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এটির পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে, যা হালকা নীল টাইলস দিয়ে ঢাকা রয়েছে। মসজিদটির ভেতরে নকশা করা সিলিং এবং একটি গম্বুজ বৃত্তও রয়েছে। এটি দেখতে অনেকটা ইস্তাম্বুলের সুলতান আহমেদ মসজিদের (ব্লু মসজিদ) মতো।
২০০২ সালে মসজিদটি নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৮ সালে মসজিদটি জনসাধারণের জন্য খোলা হয়। এটি বৈরুত শহরের কেন্দ্রস্থলে মার্টাইর্স স্কোয়ারের কাছে অবস্থিত এবং শহীদ স্কয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর নীল গম্বুজ ও উঁচু মিনার শহরের অন্যতম চিহ্নিত স্থাপনা। এটি লেবাননের মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মসজিদটিতে প্রায় তিন হাজার ৭০০ জন মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে। এটি প্রয়াত লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির উদ্যোগে নির্মিত হয় এবং তার সমাধিও মসজিদের পাশে অবস্থিত।