সুন্দরবন বাঁচাতে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ

বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশিরা দাবি করেন, রামপালে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন।
গতকাল রোববার লন্ডনের পাশাপাশি নটিংহ্যামেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাংলাদেশিরা। সংগঠন ‘লেট দ্য ভয়েস বি হিয়ার্ড’-এর ব্যানারে রামপাল নিয়ে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানায় ওই সংগঠন।
চুক্তি বাতিলের দাবিতে লন্ডনে বাংলাদেশ ও ভারত হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। লন্ডনে বসবাসরত অসংখ্য বাঙালি পোস্টার ও প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সংগঠনের পরিচালক শাকুর হকের পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি প্রবল জনমত উপেক্ষা করে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ভারত হেভি ইলেকট্রনিকের সঙ্গে সুন্দরবনের অদূরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের জাতীয় স্বার্থবিরোধী যে চুক্তি সম্পাদন করেছে তা সুন্দরবন ধ্বংস করবে।
সমাবেশে এই চুক্তিকে বন, পরিবেশ, প্রকৃতি ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের অন্যতম নেতা সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে রামপাল চুক্তিতে সরকার জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ভারতের কাছে নতজানু হওয়ার মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। জনগণকে আরো বেশি করে জাগাতে পারলে আমরা এটি প্রতিহত করতে পারব।’
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন যে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নির্গত রাসয়নিক দ্রব্যের প্রভাবে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। তা ছাড়া প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে না। সমাবেশ থেকে অনতিবিলম্বে সরকারকে রামপাল চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, ড. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুব সাঈদ, মাহমুদ রহমান ইকবাল, অতনু রায়, ফারজানা ববি প্রমুখ।
একই দাবিতে নটিংহ্যাম শহরে বিক্ষোভ করেছে ওই সংগঠন। নটিংহ্যামে বক্তারা রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইকরাম আলী, মামুন শিকদার, সাঈদ আলম, রফিকুল আলম প্রমুখ।