দ্বিমত
মার্ক্সবাদ ও প্রকৃতিভাবনা

আমার এই লেখার মারফত প্রথমেই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানাই গত ৩ রা আগস্ট, ২০১৫ ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পদকীয় পাতায় ‘পৃথিবীকে ছিড়েখুড়ে একাকারের মহোৎসব’ শিরোনামে একটি সময়োপযোগী লেখা প্রকাশ করবার জন্য। পরিবেশ ইস্যু নিয়ে লিখিত কলামটি শুধু প্রাসঙ্গিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধই নয়, বরং তা মানব ও পরিবেশ দর্শন নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে লিখিত যথেষ্ট চিন্তার উদ্রেককারী একটি প্রবন্ধও বটে।
যদিও বা মানবসমাজ, পরিবেশ ইত্যাদি গুরুতর ও সর্বব্যাপী বিষয়ে আমার জ্ঞানের সীমাটা অনেকটা বাংলা প্রবাদ ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকর’ গোছের, তবুও সাহস করে উপরিউক্ত প্রবন্ধটির একটি বিশেষ অংশ নিয়ে আমার কিছু মতামত তুলে ধরতে চাই ।
সুনামি, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প বাদে অন্যান্য যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ যথা, বন্যা, খরা, বৈশ্বিক উষ্ণতা ইত্যাদির জন্য যে দায়ী মানুষের সীমাহীন অর্থনৈতক যার পেছনে ক্রিয়াশীল তার অফুরন্ত লোভ সে বক্তব্যটি প্রবন্ধে বেশ জোরের সাথে ব্যক্ত হয়েছে । পাশাপাশি, প্রকৃতি ও জীবৈচিত্র্য মানবসভ্যতা দ্বারা ব্যাপকভাবে ধ্বংসের পেছনের যে ঐতিহাসিক ও দার্শনিক যুগসন্ধিক্ষণ, অর্থাৎ পাশ্চাত্যে শিল্পবিপ্লব ও এনলাইটেনমেন্টের সময়, সেটাও লেখক প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সাব-অল্টার্ন তত্ত্বের একজন বিশিষ্ট তাত্ত্বিক দীপেশ চক্রবর্তীর বরাতে নির্ভুলভাবে উল্লেখ করেছেন
তবে, উক্ত লেখনীতে লেখক প্রকৃতি ধ্বংসের কারণ স্বরূপ পুঁজিবাদ, কিংবা বাজার অর্থনীতি ও ভোগ সর্বস্ব সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থাকে দায়ী করার পাশাপাশি, যারা পুঁজিবাদের সমালোচক, যারা বৈষম্যহীন সমাজের পক্ষে তাদের একটি গুরুতর ভাবনার সংকটের কথা ব্যক্ত করেছেন।তিনি লিখেছেন, ‘তাদের ভাবনা কেবলই মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক।তারা কেবলই এক বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলছেন। কিন্তু, প্রশ্ন থেকে যায়, পশ্চিমা সভ্যতা বস্তুগত জীবনযাপনের যে আদর্শ তৈরি করেছে, বৈষম্যহীনভাবে সেই জীবনযাপনের ওপর সবার অধিকার প্রতিষ্ঠাই কি সাম্যবাদী আন্দোলনের মূল কথা? বৈষম্য সংকটের একটা দিক, কিন্তু আরো বড় দিক হচ্ছে ভাবনাকে শুধু মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক রাখা? পুরো পৃথিবী গ্রহকে কেন্দ্রে রেখে যদি আমরা আমাদের ভাবনাকে সাজাই, তাহলে মাটি, নদী, আকাশ, প্রাণী, ইত্যাদিকে তাদের ন্যায্য হিস্যা দিয়ে আমাদের মনুষ্য সমাজ গড়তে হবে।’
উদ্ধৃতির একটি গুরুত্ববাহী দিক কিংবা প্রশ্ন হলো পশ্চিমা ভোগবাদী (বস্তুগত জীবনযাপনের যে আদর্শ তা বলতে ভোগবাদী সমাজ বোঝানো হয়েছে বলেই আমি মনে করি) বৈষম্যহীন সমাজ যদি তৈরি হয়, তবে পৃথিবী, প্রাণ ও প্রকৃতির কী হবে? যদিও বা, ভোগবাদী আর বস্তুগত সমার্থক কি না, তা একটি প্রশ্ন ও প্রেক্ষাপট সাপেক্ষ বিষয়, তবুও পশ্চিমা পুঁজিবাদি ভোগবাদ যে অনেকাংশেই বস্তুবাদ দর্শন দ্বারা তাড়িত এবং তা মার্ক্সবাদী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ থেকে মৌলিকভাবে আলাদা তা বলাই বাহুল্য। তবে, এখানে লেখক বামপন্থীদের ভাবনার সংকট নিয়ে যে প্রশ্ন করেছেন তা আরেকটি প্রশ্নের দিকে ঠেলে দেয় আর তা হলো, বামপন্থী কিংবা যারা মোটাদাগে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চান, তারাঁ কি তবে পশ্চিমা ভোগবাদী আদলে তা গড়ে তুলতে চান? তারা কি তবে চান পৃথিবী, প্রাণ ও প্রকৃতির জলাঞ্জলি দিয়ে একটি অনিয়ন্ত্রিত ভোগবাদী-সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে, যেখানে সবার ভোগের ব্যবস্থা হবে সমান ও একইসাথে অসীম? এমন পরিপ্রেক্ষিতে স্মরণ করতে হয় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা, পূর্ব ও পশ্চিম সমাজের, অসংখ্য বামপন্থী, প্রগতিশীল ও একই সাথে পরিবেশ ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে সচেতন লেখক, তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক কর্মীর কথা যাদের আন্দোলন ও সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুই কিন্তু পশ্চিমা ভোগবাদী সমাজ ও তার পেছনের মূল ক্রীড়নক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার নাম পুঁজিবাদ। তাই, যারা পুঁজিবাদের কারণে সৃষ্ট অন্যায়, অসাম্য ও অনিয়ন্ত্রিত ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন, প্রতিবাদ, সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সেই তাঁরাই আবার তাদের পরিকল্পিত সাম্যবাদী সমাজকে সেই পশ্চিমা ভোগবাদী আদলেই গড়তে চাইবেন কি না কিংবা চান কি না তা একটি প্রশ্ন ও তর্কসাপেক্ষ বিষয়।
একশ্রেণির মানুষের সীমাহীন ভোগবিলাসের ও মুনাফা লালসার কারণেই যে সমাজে (পাশ্চাত্যে ও প্রাচ্যে) বৈষম্য ও বিভাজন দিনে দিনে একটি পরিমাপের অতীত বস্তুতে রূপ ধারণ করছে তাও বলার অপেক্ষাতীত। এমতাবস্থায়, যারা বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ চান- যেখানে একটি রাষ্ট্র বা একটি দেশের সম্পদের সুষম বণ্টন বিদ্যমান থাকবে, এর সব নাগরিকের মাঝে- তাঁরা বৃহৎ পরিসরে একটি ভোগবাদী সমাজের ছক কষছেন কি না মনে মনে তা নিয়ে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগে, সন্দেহ হয়।
তদুপরি, লেখক অভিযোগের তীর নির্দেশ করেছেন তাঁদের প্রতি যাঁরা বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলেন এই মর্মে যে, তাদের চিন্তা-ভাবনা ও কর্মকাণ্ড সবই মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক, যার অর্থ দাঁড়ায় জগতের অন্যান্য প্রাণীকুল ও প্রকৃতি ধ্বংসের প্রতি তারা ভ্রুক্ষেপহীন। কিন্তু আসলেই কি তাই? যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাই- সুন্দরবনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার প্রকল্প সেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফুলবাড়ীতে প্রকৃতি, প্রাণীকুল, ভূ-গর্ভস্থ পানি, কৃষি জমি ও সেখানকার স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকা বিধ্বংসী উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনসহ আরো নানা ধরনের পরিবেশ-প্রতিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প ও চুক্তি বাতিলের দাবিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া স্ংগঠন ‘জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র সাথে যুক্ত অনেক সক্রিয় ব্যক্তিই কিন্তু বামপথ অথবা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আন্দোলন করছেন, নানান লোভনীয় পেশাগত ক্যারিয়ারের লোভকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছেন, পুলিশের হাতে মার খাচ্ছেন। যদিও বা তাদের ভাবনার মূল কেন্দ্রে আছে এ দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, তবে জীবন, প্রকৃতি, প্রতিবেশ ও প্রাণীকুল না বাঁচলে যে মানুষও বাঁচবে না, সেই ভাবনা ও উপলব্ধি কিন্তু তাদের সমন্বিত আন্দোলন ও প্রতিবাদের ভেতর দিয়েই প্রতিফলিত হয়।
কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সাম্প্রতিকতম লেখালেখিগুলোতে পুঁজিবাদের কারণে পরিবেশ ও বন ধ্বংস, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ইত্যকার বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে উঠে এসেছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী, পূর্বে ও পশ্চিমে, যখনই কোনো পরিবেশ ও মানবতাবিরোধী (পরিবেশ ও মানুষ, উভয়কে আলাদ করে দেখার সুযোগ নেই) কোনো প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ক্ষমতা ও অর্থপিশাচ পুঁজিবাদী কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি অথবা সরকার, কিংবা সরকারের পেছনের সরকার অর্থাৎ করপোরেট দুনিয়া, তখনি কিন্তু এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ, প্রতিরোধে বৈষম্যহীন সমাজপন্থীরা সামনের থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ, যদিও বা বামপন্থীদের ভাবনা-চিন্তা-চর্চা মানব সমাজকেন্দ্রিক, তাঁদের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যসূচিতে প্রতিবেশ বিষয়টী বরাবর গুরুত্বের সাথে স্থান করে নেয়, কারণ তারা জানে যে ধরনীকে পুজিবাদীদের লোভ-লালসার কদর্য হাত থেকে রক্ষা না করতে পারলে, মানুষও রক্ষা পাবে না।
তবে এখানে লক্ষনীয় বিষয় হলো, ওই প্রবন্ধটিতে দীপেশ চক্রবর্তীর বরাতে যে দার্শনিক সংকটের উল্লেখ রয়েছে এবং অনুমান করি যার সূত্র ধরে লেখক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার চিন্তকদের দায়ী করছেন, তার উৎস কি গত শতাব্দীতে সমাজতন্ত্রের নামে চালিত একনায়কতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় শাসিত স্ট্যালিনের অধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মাও ও মাও-উত্তর চীনের ব্যাপকভাবে উৎপাদনশীল- একই সাথে পরিবেশের জন্য মারাত্মকভাবে হুমকিস্বরূপ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড? নাকি তার সমালোচনার মূল লক্ষ মার্ক্সবাদী তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ?
মার্ক্সবাদবিরোধীদের মাঝে অবশ্য মার্ক্সকে এই পরিবেশ ইস্যুতে আক্রমণ করা একটি জনপ্রিয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যার পেছনে হয়তো বা মার্ক্স ও এনলাইটেনমেন্টের সমসাময়িকতার একটি যোগসূত্র টানা যেতে পারে। অর্থাৎ, যে দার্শনিক সংকটের কথা বলা হচ্ছে, আর তা যদি মার্ক্সবাদী দার্শনিক সংকট হয়, যার গোড়ায় ক্রীয়াশীল শুধু মানুষ ও তার সমাজকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা, তার উৎস যে ইউরোপে ঘটে যাওয়া এনলাইটেনমেন্টের দার্শনিক সংকট এর মাঝেই নিহিত তা বলা যেতে পারে এবং স্বয়ং মার্ক্সও এই দার্শনিক সংকট, কিংবা সোজা ভাষায় দার্শনিক ত্রুটি মুক্ত নন তাও মার্ক্সবাদ বিরোধীরা বলে থাকেন। এই ভাবনা কিংবা দর্শনের সংকট নিয়ে বিশিষ্ট লেখক ক্রিস উইলিয়ামস১ অবশ্য বেশ পরিষ্কারভাবে বিষয়টির অবতারণাপূর্বক পরিবেশ-প্রতিবেশ ইস্যু নিয়ে যে মার্ক্সবাদ বিরোধীদের মার্ক্সবাদী তত্ত্ব নিয়ে যে প্রচার-প্রচারণা তা ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছেন। লেখাটিতে তিনি মার্ক্সের ক্যাপিটাল ও এঙ্গেলসের বেশ কিছু লেখা উদ্ধৃত করেছেন, যা থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে তাঁদের বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবনা খুবই পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়, এবং এও দেখা যায় তাঁদের বস্তুবাদী দর্শনে অর্থনীতি ও মানুষেকে সবকিছুর কেন্দ্রে রাখা হয়নি যেমনটি হয়েছে পুঁজিবাদে। বরং, মানুষ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিবর্তনশীল জীব-প্রকৃতির অংশ হিসেবেই দেখানো হয়েছে । আর এখানেই পশ্চিমা ভোগবাদী বস্তুবাদ থেকে মার্ক্সবাদী দ্বন্দমূলক বস্তুবাদের তফাৎ। মানুষ যে প্রকৃতির একটি অংশ সে সম্পর্কে মার্ক্স লিখেছেন, (আমি ক্রিস উইলিয়ামসের প্রবন্ধ থেকে উল্লেখ করছি, যার ওয়েব লিংক এই লেখার শেষে যুক্ত করা হলো) :
Nature is man’s inorganic body, that is to say, nature in so far as it is not the human body. Man lives from nature, i.e. nature is his body, and he must maintain a continuing dialogue with it if he is not to die. To say man’s physical and mental life is linked to nature simply means that nature is linked to itself, for man is a part of nature.
এ থেকে প্রকৃতির সাথে যে মানুষের প্রতিবেশিক ও জীবন-মরণের সম্পর্ক তা সম্পর্কে মার্ক্স যে পূর্ণ সচেতন ছিলেন তা প্রতীয়মান। যাঁরা পরিবেশ ইস্যুতে মার্ক্সকে ও তাঁর বস্তুবাদী দর্শনকে সমালোচনা করেন তাঁদের আবার পুনরায় মার্ক্স পাঠে মনোনিবেশ করার অনুরোধ রইল। এ ছাড়া, উইলিয়ামস তাঁর প্রবন্ধটিতে ভ্লাদিমির ভার্নাডস্কি নামের একজন বলশেভিক সোভিয়েত বিজ্ঞানীর কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রথম বায়োস্ফিয়ার (Biosphere) শব্দটি প্রবর্তন করেন আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে। তাঁর বায়োস্ফিয়ার বৈজ্ঞানিক তত্ত্বেও কিন্তু মার্ক্সের উপরিল্লিখিত কথার ধ্বনিই শোনা যায়। তাঁর বায়োস্ফিয়ারে প্রকৃতিই প্রধান সিস্টেম, মানুষ সমাজ তার সাব-সিস্টেম, আর সেই সাব-সিস্টেমের সাব-সিস্টেম হলো অর্থনীতি, পুঁজিবাদে আমরা সচরাচর যার বিপরীতটিই ঘটতে দেখি। উইলিয়ামসের লেখনীতে আরো বেশ কংক্রিট উদাহরণের উল্লেখ আছে- যা মার্ক্সবাদ সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাকে ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। এ বিষয়ে আগ্রহী পাঠক নিঃসন্দেহে তাঁর প্রবন্ধ পড়ে উপকৃত হবেন।
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক