মহাদেশীয় সন্ত্রাসী হামলার ইতিবৃত্ত

ত্রি-মহাদেশীয় সন্ত্রাসী হামলা শঙ্কিত করেছে বিশ্বকে। গত ২৬ জুন প্রায় একই সময় তিনটি মহাদেশে এই হামলা পরিচালিত হয়। এই তিনটি মহাদেশ হচ্ছে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া। ইউরোপের ফ্রান্স, আফ্রিকার তিউনিসিয়া এবং এশিয়ার কুয়েত এ হামলার শিকার হয়। ইউরোপের ফ্রান্সে একটি কারখানায় হামলা চালিয়ে একজনের শিরশ্ছেদ এবং আরো কয়েকজনকে জখম করা হয়েছে। কুয়েতে ২৫ জন নিহত হয়েছে শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায়। সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাটি ঘটে তিউনিসিয়ায় সৈকতের কাছে একটি হোটেলে। সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৭ জন।
তিউনিসিয়ায় হোটেলে হামলা
রাজধানী তিউনিস থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের সুছা এলাকায় সৈকতসংলগ্ন ইম্পেরিয়াল মারহাবা হোটেলে ২৬ জুন দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিকভাবে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে এক লোক। এর পর কয়েক ঘ্ণ্টা ধরে ওই সন্ত্রাসীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি চলে অনেকক্ষণ। পরে একটি কালাশনিকভ রাইফেলসহ ওই সন্ত্রাসীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ওই হামলার সঙ্গে আরো একজন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হামলাকারী গোসল করবে এমন ভঙ্গি নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে সৈকতে যায়। তার সঙ্গে সৈকতে ব্যবহার করার বড় ছাতা ছিল। ওই ছাতার মধ্যে লুকানো ছিল তার অস্ত্র। সৈকতে ঢুকেই সে গোলাগুলি শুরু করে দেয়। সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এ ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩৬ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে বলে জানা গেছে। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চার্লস ফ্লানাগান জানান, তিউনিসিয়ার হামলায় একজন আইরিশ নারী নিহত হয়েছেন। আর সবই তিউনিসীয়বাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাক্রান্ত হোটেলের স্পেনীয় মালিক কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই সময় ৫৬৫ জন পর্যটক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। এঁদের অধিকাংশই যুক্তরাজ্য ও মধ্য ইউরোপীয় দেশের নাগরিক। এরই মধ্যে তিউনিসিয়ার নিরাপত্তামন্ত্রী রফিক চেলি জানিয়েছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করা গেছে। সে তিউনিসিয়ার নাগরিক। তার বাড়ি দেশের মধ্যাঞ্চলের কাইরোয়ান এলাকায়। সে ছাত্র। আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের কাছে তার সন্ত্রাসসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রাজধানী তিউনিসের বিখ্যাত বোরদো জাদুঘরে সন্ত্রাসী হামলায় ২১ বিদেশি পর্যটক এবং একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনার পর আতঙ্কিত হাজারো পর্যটক তিউনিসিয়া ছেড়ে গেছেন। তিউনিস সরকার সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিশেষত, উত্তর আফ্রিকার ভূমধ্যসাগরীয় নান্দনিক পর্যটন ব্যবসায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুয়েত মসজিদে হামলা
রাজধানী কুয়েত সিটির একটি শিয়া মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। একজন সন্ত্রাসী নিজের বোমায় মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় নিহত হন ২৫ জন। আহত হয়েছেন আরো ২০০ জন। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে মসজিদের একটি বড় অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। মুসল্লিদের রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে আছে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কুয়েতবাসীর জাতীয় ঐক্য নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে তা করা খুব কঠিন। আমরা এখন আরো ঐক্যবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, কুয়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিদের বসবাস হলেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিয়া বসবাসকারী রয়েছে। ঘটনার পরপরই আইএস গোষ্ঠীর সহযোগী বলে দাবিদার নাজাদ প্রভিন্স এর দায় স্বীকার করেছে। সৌদি আরবভিত্তিক কট্টর সুন্নি এই গ্রুপ শিয়াদের প্রতি চরম ঘৃণা পোষণ করে। সিরিয়া, ইরাকে উত্থিত সুন্নিপন্থী আইএস গোষ্ঠী সম্প্রসারিত হলে এদের তৎপরতাও বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সৌদি-ইরান প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে এদের তৎপরতা নতুন মাত্রা অর্জন করেছে। নাজাদ প্রভিন্স আত্মঘাতী হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। আবু সোলাইমান আল মুহায়হিদ এ যোদ্ধার নাম। হামলার কারণ হিসেবে গ্রুপটি জানায় যে, ওই মসজিদ থেকে সুন্নিদের শিয়া মতবাদের দিকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছিল।
স্মরণ করা যেতে পারে যে, ইসলামের ইতিহাসে শিয়া-সুন্নি বিরোধের প্রাথমিক বিকাশকাল থেকেই বিভেদ ছড়িয়ে আসছে। শিয়ারা বিশ্বাস করেন, হজরত আলী (রা.) হচ্ছেন খেলাফতের প্রথম এবং প্রকৃত দাবিদার। হজরত আলী (রা.) প্রাথমিক তিন খলিফা দ্বারা বঞ্চিত হয়েছেন। খেলাফত নাকচকারী হজরত মুয়াবিয়ার (রা.) ওপর তাদের প্রচণ্ড ক্ষোভ। মুয়াবিয়াপুত্র ইয়াজিদ কর্তৃক আলীপুত্র ইমাম হোসাইন কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হলে তা ইসলামী দুনিয়ায় অমোচনীয় বিভেদ এবং অব্যাহত সংঘাতের সৃষ্টি করে। ইরান শিয়া রাষ্ট্র হওয়ার কারণে সৌদি সুন্নি রাজতন্ত্র তাদের অনুমোদন করে না। সাম্প্রতিককালে দুটো ঘটনা সৌদি ইরান তথা সুন্নি-শিয়া বিরোধ নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে।
প্রথম কারণটি, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিরোধ। দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলা এই বিরোধ নিরসনে পাশ্চাত্য তথা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের একটি সমঝোতা প্রয়াস চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের সমঝোতা প্রয়াসের গুরুতর বিরোধী। সৌদি রাজতন্ত্র ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে গোড়া থেকেই নিজেদের মসনদের শত্রু বিবেচনা করে আসছে। দ্বিতীয়ত, ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে দুই পক্ষই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে। ইয়েমেনের উত্তর অংশের শিয়া জনগণের প্রতি বিশেষত হুতি গোত্রের প্রতি ইরানের পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে সৌদি আরব হুতিদের দ্বারা সদ্য ক্ষমতাচুত প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করে যাচ্ছে। বস্তুত সৌদি আরব পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় ইয়েমেনে ‘প্রক্সিওয়ার’ লড়ছে।
ফ্রান্সের কারখানায় হামলা
২৬ জুন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ফ্রান্সে আরেকটি ঘটনা ঘটে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিয়ঁর কাছে ছোট্ট শহরের একটি গ্যাস কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। মার্কিন মালিকানাধীন এ কারখানার প্রধান ফটক ভেঙে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। এরপরই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুজন আহত হন। পরে ঘটনাস্থালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায় একটি খুঁটির সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায়। নিহত ওই ব্যক্তির মাথায় কিছু লেখা ছিল। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে আরবি লেখা একটি পতাকা পাওয়া গেছে বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, নিহত ওই ব্যবসায়ীকে বাইরে কোথাও হত্যা করে মাথা ও শরীর আলাদা করে সেখানে নেওয়া হয়েছিল, নাকি হামলার পর কারখানা প্রাঙ্গণে কোথাও তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তারা তখন পর্যন্ত নিশ্চিত নন। হামলার প্রকৃত আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে সন্দেহভাজন ইয়াসিন সালেহী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার কারা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেরনাড ব্যাসনফ বলেন, সালেহীর বিষয়ে কয়েক বছর ধরেই জানত নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। হামলাকারী একজন না দুজন, তাও নিশ্চিত করা যায়নি। সন্দেহভাজন সালেহী কট্টর সুন্নিপন্থী। সালাফী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, কোনো জিহাদি সংগঠন এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সিরিয়ায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড
সিরিয়ায় গত ২৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত আইএস জঙ্গিদের হামলায় ১৬৪ জন নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা খবরে প্রকাশ। সিরিয়ার একটি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইএসের ওই হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এর পর ২৪ ঘণ্টায় শুধু কোবারি শহরে ১২০ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়। শহরটির পাশের গ্রামে আরো ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। কোবানির রাস্তায় নারী-শিশুসহ ১৮ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়।
আইএস : সৌদি-ইসরায়েল যৌথ প্রযোজনা?
তিন মহাদেশে একই সময়ে অনুষ্ঠিত ঘটনাগুলোকে একই সূত্রে গাঁথার চেষ্টা করছে পশ্চিমা বার্তা সংস্থাগুলো। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষ হতে না হতেই তাঁরা যোগসূত্র খুঁজছেন। তাঁদের সন্দেহের তীর একদিকেই। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠন ইসলামিক স্টেটের দিকে তাঁদের দৃষ্টি। তাঁরা বলছেন, এসব হামলা আইএসের কৌশলের প্রতিধ্বনি করে। খোদ আইএসের উদ্দেশ্য বিধেয় নিয়ে অনেক বিশ্লেষক গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ইসলামী পণ্ডিতরা আইএসকে ইসলামী আদর্শের পরিপন্থী বলে মতামত দিয়েছেন। যখন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সৌদি-ইরান বিরোধ তুঙ্গে, তখন নতুন করে শিয়া-সুন্নি বিরোধ কার স্বার্থে বা কে উসকে দিচ্ছে, তা গভীর বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া ইসরায়েল ইরান-মার্কিন পারমাণবিক সমঝোতার প্রশ্নে কঠোর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি যখন ভিয়েনায় চূড়ান্ত পর্যায়ের অলোচনায় রত, তখন এই সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা কাদের লাভবান করবে, তা সহজেই অনুমেয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক আইএসকে ইসরায়েল তথা পাশ্চাত্যের কৌশলগত সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন। এর দ্বারা মুসলিম বিশ্বের শত্রুরা বিভেদ এবং চরম পন্থা দ্বারা ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধকে দীর্ঘ করতে চাইছে।
পরিকল্পিত নাকি কাকতালীয়?
ফ্রান্সের হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি সংগঠন। তিউনিসিয়ার হামলার জন্য দায়ী ছাত্রটি ইতোপূর্বে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল বলে প্রমাণ পায়নি তিউনিস পুলিশ। ঘটনাটি কয়েক বছর আগে ফিনল্যান্ডে বন্দুকধারী যুবকের হাতে নিহত অনেক মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে তুলনীয়। সেটি ছিল ব্যক্তিগত ক্ষুব্ধকাতর পাষণ্ডতা। তিউনিস হোটেলের ঘাতক ব্যক্তিক অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মদদে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তবে অনেক সময়, ‘ঝড়-বাদলে কাক মরে, ফকির তার কেরামতি ঝাড়ে’ এমনটিও হতে পারে। আর কুয়েতে শিয়া মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস—এমনটি বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে চরম শিয়াবিরোধী সৌদি সংগঠন নাজাদ প্রভিন্স আদৌ আইএসের প্রতিনিধিত্ব করে কি না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। যারা হত্যাকারী তারা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। সব ঘটনা বিশ্লেষণ করলে একটা কমন সূত্র বেরিয়ে আসে, আর তা হলো চরম সহিংসতা। ফ্রান্সের ঘটনায় কর্মচারী তার মালিকের বিরুদ্ধে চরম হিংসার প্রকাশ ঘটিয়েছে। তিউনিসিয়ায় হয়তো ‘সভ্যতার সংঘাত’ কাজ করেছে। আর কুয়েতে ধর্মীয় সংঘাতের চরম প্রকাশ ঘটেছে। সবকিছুর জন্য ইসলামকে দায়ী করার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন, বনেদি বিশ্লেষক গাইলস ফ্রেজার। লন্ডনের গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘ধর্ম নয়, রাজনীতিই সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে।’ অন্যদিকে গার্ডিয়ানের নির্বাহী সম্পাদক জোনাথন ফ্রিডল্যান্ড ধর্মীয় বাতাবরণে সন্ত্রাসকে সন্ধানের চেয়ে সমাজে বিরাজিত অশুভ শক্তিকে চিহ্নিত করার আবেদন জানিয়েছেন। আমরাও অশুভকে চিহ্নিত করে মানবিক যুদ্ধে জয়ী হতে চাই।
লেখক : অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।