৪০ বছর পর পৌঁছালো পার্সেল

আমাদের দেশ থেকে তো ডাকে চিঠি পাঠানোর রীতি প্রায় উঠেই যাচ্ছে। সবারই ভরসা এখন কুরিয়ার সার্ভিসে। অস্ট্রেলিয়ার ডাকবিভাগ এক আশ্চর্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। একটা পার্সেল পাঠানোর ৪০ বছর পর সেটা প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তারা। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় গণমাধ্যমগুলোতে।
৭০-এর দশকের কোনো এক সময় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ভিউব্যাংক টেনিস ক্লাব কিছু কাপড়ের তৈরি ইউনিফর্ম ব্যাজের অর্ডার দিয়েছিল। সেই ব্যাজগুলোই ৪০ ব্ছর পর পৌঁছে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডাক বিভাগের এক পিয়ন।
ব্যাজগুলো গ্রহণ করেছেন ভিউব্যাংক টেনিস ক্লাব কমিটির সদস্য আইরিন গ্যারাট। কপাল ভালো যে এই ৪০ বছরে তার ঠিকানা বদল হয়নি। তাহলে হয়তো এই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী হতে পারতেন না তিনি। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফক্স স্পোর্টস, সেভেন নিউজ ও ম্যাশেবল।
ফক্স স্পোর্টসকে আইরিন জানিয়েছেন, ময়লা তেল চিটচিটে একটা পার্সেল আমাকে দিয়ে যায় পোস্টম্যান। সেও আসলে বুঝতে পারছিল না, কেন পার্সেলটা এত পুরনো দেখাচ্ছে। সে ভেবেছিল এটা হয়তো কোথাও পড়ে গিয়েছিল। তবে পার্সেলের খাম পুরোনো হয়ে গেলেও ভেতরের ব্যাজগুলো একেবারে নতুন আছে।
৪০ বছর পর এই ব্যাজগুলো ফিরে পেয়ে ক্লাবটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যাজগুলো ব্যবহার করবে তারা।
এরই মধ্যে এই বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডাক বিভাগ। তবে আইরিন এই বিলম্বে কিছু মনে করেননি। তাঁর মতে, ‘আমার মনে হয় তারা দারুণ একটা কাজ করেছে। মানে দেরিতে হলেও তারা পার্সেলটা ঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছে। ডাস্টবিনে ফেলে দেয়নি।’