জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সপ্তম সমাবর্তন আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ৪২তম বার্ষিক অধিবেশন পূর্ববর্তী শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এই তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে সপ্তম সমাবর্তন আয়োজন করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে সকলের পরামর্শ ও মতামত প্রত্যাশা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জনবল ও শিক্ষার্থীর তথ্য ভাষণে তুলে ধরেন উপাচার্য। বর্তমানে জাবিতে ৭১৭ জন শিক্ষক, ৩৮০ জন কর্মকর্তা, ৯৭০ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও ৫০৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কর্মরত আছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১০২ জন শিক্ষক ছুটিতে ও ১১ জন শিক্ষক লিয়েন ছুটিতে রয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন ৫২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬ শত ৯০ জন।

উপাচার্য আরও জানান, বিগত শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান), ১ হাজার ১ শত ৮২ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর, ৩ জন এমফিল ও ৪৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। উপাচার্য এই ডিগ্রিধারীদের অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, তারা কর্মক্ষেত্রে মেধা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞায় অর্জিত ডিগ্রির মান সমুন্নত রাখবেন।

উপাচার্য তার বক্তব্যে জাবিতে গত নয় মাসে ছয়টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও উল্লেখ করেন, যার মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ, পেট্রোবাংলা, অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স মালায়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় সিনেটের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় এক ঘণ্টা পিছিয়ে বিকেল ৪টা থেকে তা শুরু হয়।