ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার (২৩ জুন) রাতে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মেয়েদের আবাসিক হল, বিভিন্ন অনুষদ ভবন প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকদের দুই গালে, জুতা মার তালে তালে’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই,আদনান-পার্থের ফাঁসি চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, হ্যাঙ্গ দ্য রেপিস্ট’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রতিবাদ জানায়। এ সময় দুই ধর্ষকের ছবি সম্বলিত প্লেকার্ড আগুনে পোড়ানো হয়।
মিছিল শেষে প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুর উদ্দীন রাজু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো দেশের সবচেয়ে সচেতন জায়গা। এখানে যদি এমন বর্বর ঘটনা ঘটে, তাহলে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অনিরাপত্তা তৈরি হবে। আমরা চাই, ধর্ষকদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজের চিন্তাও না করতে পারে।
নুর উদ্দীন রাজু আরও বলেন, ‘আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, কিন্তু আমরা আশঙ্কা করছি যেন কোনোভাবে এই রিমান্ড বাতিল বা দুর্বল তদন্তের মাধ্যমে মামলাকে ধামাচাপা না দেওয়া হয়।’
একই বিভাগের শিক্ষার্থী জেমিমা জামান সিলিয়া বলেন, আমরা প্রশাসনের পদক্ষেপে আপাতত সন্তুষ্ট। তবে শুধু রিমান্ড নয়, দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাও জরুরি।
গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মেসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আদনান ও পার্থের বিরুদ্ধে। পরে ১৯ জুন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। সেদিনই বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) আদালত দুই আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।