রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অপসারণ দাবি

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও নিয়োগে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ ও ‘আঞ্চলিকতার’ অভিযোগ এনে উপাচার্য (ভিসি) ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার অপসারণ দাবি করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
আজ বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরে পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী বাতিলের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
সকালে শহরের পৌর চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাব্বির আহম্মদ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাঈনুদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা, সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, রাঙামাটি কলেজ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের মো. ইউসুফ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, একদিন যারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং নিয়োগের জন্য সবচেয়ে বেশি লবিং তদবির করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এদের ক্রীড়নক হিসেবেই কাজ করছেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিশেষ গোষ্ঠীর প্রাধান্য এবং প্রায় সবগুলো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে খাগড়াছড়ি থেকে।
বক্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য যে মনির রক্ত দিয়েছে, তাঁর পরিবারের কথা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ভুলে গেলেও পার্বত্য বাঙালিরা ভুলে যায়নি। তাই কোনো প্রকার চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এবং টালবাহানার পরিণাম ভালো হবে না বলেও সতর্ক করে দেন তাঁরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে ভিসি মেধা বা যোগ্যতা নয়, সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের সুপারিশকেই প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। তারা অবিলম্বে ভিসিকে অপসারণ করার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদের ব্যাপারে এত দিন যে অলিখিত চুক্তির কথা বলছিল সন্তু লারমা, ভূমি কমিশনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব এখন সন্তু লারমার হাতেই তুলে দিতে যাচ্ছে সরকার।
বক্তারা অবিলম্বে ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।