মাদ্রাসা বোর্ড : পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ফল

চলতি ব্ছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৭টি মাদ্রাসার কেউই পাস করতে পারেনি। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২২। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার ৮৯৫ জন। এ সংখ্যাও মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফলে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৬ জন। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সংখ্যা কমেছে। গত বছর দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
চলতি বছর দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৪ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল দুই হাজার ৬৭৮ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক লাখ ২৬ হাজার ২২৯ জন ছাত্র এবং এক লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন ছাত্রী।
কমেছে পাসের হার
মাদ্রাসা বোর্ডে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই পাসের হার সবচেয়ে কম। এ বছর পাসের হার ৮৮ দশমিক ২২। গত বছর এ হার ছিল ৯০ দশমিক ২, ২০১৪ সালে এ হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৫, ২০১৩ সালে এ হার ছিল ৮৯ দশমিক ১৩ এবং ২০১২ সালে এ হার ছিল ৮৮ দশমিক ৪৭।
কমেছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তি
দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর হার ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার ৮৯৫ জন। যা গত পাঁচ বছরের ফলাফলে সর্বনিম্ন। গত বছর দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৩৩৮ জন, ২০১৪ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩ জন, ২০১৩ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজার ৬৭৩ এবং ২০১২ সালে ছিল ১৩ হাজার ৪৩৬।
অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানে এগিয়ে
চলতি ব্ছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ হাজার ১২২টি মাদ্রাসা। এর মধ্যে ৩৭টি মাদ্রাসার কেউই পাস করতে পারেনি। শতভাগ পাস করেছে দুই হাজার ১৩৪টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার সময় বহিষ্কার হওয়ার দিক দিয়েও মাদ্রাসা বোর্ড এগিয়ে আছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় আটটি শিক্ষা বোর্ডে মোট বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫১ জন। সেখানে মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয় ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী।
গত পাঁচ বছরের মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতি বছর বাড়ছে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গত বছর দাখিল পরীক্ষায় ২৯৯ জন বহিষ্কৃত হয়, ২০১৪ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ১৯১, ২০১৩ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ১৯৫। ২০১২ সালে ২৬৫।