‘আমরা কি ন্যায়বিচার পাব?’

‘আমরা আশার শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছি। ক্রমেই আমাদের মন হতাশায় ভরে উঠছে। আমরা কি আসলেই ন্যায়বিচার পাব?’ এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাবি শিক্ষক ড. এ কে এম শফিউল ইসলামকে হত্যার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও কয়েকশ শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। সেখানেই নিজের হতাশার কথা ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আবদুর রহমান।
মানববন্ধনে অধ্যাপক আবদুর রহমান আরো বলেন, ‘আসলে আমরা শফিউল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিষয়টাকে এক ধরনের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। আমরা আবারও দাবি করছি, শফিউল হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম যে, শফিউল হত্যার বিচার পাব। কিন্তু সেই আশাবাদী আর থাকতে পারছি না। শফিউল হত্যাকাণ্ডের এ কবছর হতে চলল কিন্তু খুনিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি। বরং বিষয়টি আস্তে আস্তে অস্পষ্ট হয়ে উঠছে।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে শাস্তি দিতে হবে। লোকদেখানো বা কোনো রকম গড়িমসি যেন না হয় সেটা প্রশাসনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিহাস এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত শফিউল ইসলামকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় রাবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ওই থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি অধ্যাপক শফিউল হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নগর গোয়েন্দা (ডিবি) শাখায় স্থানান্তর করা হয়।