প্রতিবন্ধীবান্ধব ক্যাম্পাসের দাবিতে জাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবন্ধীবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন-ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) জাবি শাখা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও চলাচল নির্বিঘ্ন করার সুযোগ-সুবিধা দিতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেছে সংগঠনটি। আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনটির নেতারা।
পিডিএফের আট দফা দাবিগুলো হলো : ১. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা বৃদ্ধি করা এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সরাসরি ভর্তি করা। ২. লাইব্রেরিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা। ৩. দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির প্রচলন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত একজন ব্রেইল টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া। ৪. আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা। ৫. প্রতিটি অনুষদে এবং প্রশাসনিক ভবনে র্যাম্প (প্রতিবন্ধীদের জন্য ভবনে ওঠার বিশেষ রাস্তা) এর ব্যবস্থা করা। ৬. ক্যাম্পাসে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক রেকর্ডিং কক্ষের ব্যবস্থা করা। ৭. প্রতিটি হলে অন্তত একটি করে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রক্ষালন কক্ষের ব্যবস্থা করা ও ৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী যোগ্য ব্যক্তিদের সুযোগ দেওয়া।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় পিডিএফের প্রধান উপদেষ্টা ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল কবীর ভূঁইয়া, সংগঠনের সভাপতি কাউসার হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন আলী, সাবেক সভাপতি আবদুল জলিলসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজে করছে পিডিএফ। শুরুতে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করলেও বর্তমানে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করছে সংগঠনটি।
পিডিএফের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৬০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। এ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছে সংগঠনটির প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী।