‘মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ করার চক্রান্ত চলছে’

একের পর এক ব্লগার হত্যার মাধ্যমে মুক্তচিন্তা প্রকাশের পথ রুদ্ধ করার সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত চলছে বলে মনে করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধায় হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে নীলাদ্রি হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
ড. আনন্দ কুমার সাহা আরো বলেন, ‘রাষ্ট্র ও সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা নাহলে হত্যার এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।’
এ ছাড়া আলাদা আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এ সাঈদ শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘স্বাধীন দেশে এসব একের পর এক হত্যার ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। বারবার এমন ঘটনার পরও এর কোনো বিচার হচ্ছে না। বিচারহীনতার এই নিয়মিত চর্চা থেকে মুক্তি পেতে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
এদিকে ব্লগার নীলাদ্রি (নিলয় নীল) হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টুকিটাকি চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তমনা ও প্রগতিশীলতার চর্চা করা এসব ব্লগারদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের পরও রাষ্ট্র বা পুলিশ ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রাষ্ট্রের নির্বিকার ভূমিকা ওই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আরো মদদ দিচ্ছে বলেও সমাবেশ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ সময় অবিলম্বে সব হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক ইমন, রাবি শাখা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহ-সভাপতি তাসনুবা তাহরীন অন্তরা প্রমুখ।