কুবিতে প্রশাসনিকসহ ২৫ পদে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকদের পদত্যাগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক পদসহ বিভিন্ন কমিটির ২৫ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়া উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান কর্মসূচি ও দাবি-দাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে পরিষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জামায়াতীকরণসহ অযাচিত মন্তব্য প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকরা স্ব-স্ব প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের তিনজন আবাসিক শিক্ষক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের তিন আবাসিক শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দুজন, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের একজন আবাসিক শিক্ষক, দুই সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি, পরিবহন কমিটি, টেন্ডার কমিটি ও ক্রয় কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির সদস্য পদ ও প্রশাসনিক ২৫টি পদ থেকে শিক্ষকরা পদত্যাগ করেন।
শিক্ষকদের পদত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকরা বিকেল ৫টার দিকে বিভিন্ন পদের বিপরীতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেগুলো আমি জমা নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গভীর রাতে দুই শিক্ষকের বাসায় পরিকল্পিত হামলার রহস্য দ্রুত উদঘাটন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা, শিক্ষক লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত ডিন এম এম শরীফুল করীমকে তদন্ত চলার সময়ে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে গত ২২ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।