চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর চারটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল, শাহ আমানত, সোহরাওয়ার্দী ও আব্দুর রব হলে একযোগে পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়। এসময় কিছু দেশীয় অস্ত্র, দা, ৩/৪ বস্তা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, সন্দেহের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে কিছু লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। রুমে কেউ না থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি। গত কয়েক দিনে চবি শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে তল্লাশির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

এর আগে গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর রাতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের টিভিকক্ষে মিটিংয়ে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন হলের সামনে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। এদিন থেমে থেমে একাধিক হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুটি পক্ষ হলো- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী সিএফসি ও সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী ভিএক্স গ্রুপ।