নারী ও তরুণীদের ক্ষমতায়নে সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএ’র চুক্তি স্বাক্ষর

নারী ও তরুণীদের ক্ষমতায়ন এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সিটি ব্যাংক ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে ‘কমলাফুল ফার্মেসি উদ্যোগ’ চালু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন। অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং প্রধান শাহরিয়ার জামিল খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনএফপিএ’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বিভাবেন্দ্র সিং রাঘুবংশী, কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট গুলালেক সোলতানোভা এবং প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট-আরবান হেলথ মো. আজমল হোসেন।
উদ্যোগটি ইউএনএফপিএ পরিচালিত সফল পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে। এতে দেখা গেছে নারী ফার্মাসিস্ট ও অ্যাসোসিয়েটরা বিশেষ করে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে নারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য, উন্নত পরামর্শ প্রদান করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনীয় সেবার প্রবেশাধিকার বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন।
ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব প্রমাণ করে যে বেসরকারি খাত নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকারের প্রসারে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখতে পারে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে গড়ে তোলা মানে সুস্থ পরিবার, শক্তিশালী সমাজ এবং সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে বিনিয়োগ করা।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিও জরুরি। এ উদ্যোগ তরুণীদের শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগই দেবে না, বরং তাদের মর্যাদা, স্বনির্ভরতা ও নেতৃত্ব অর্জনের পথ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে আমরা উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও বিশ্বস্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের জীবনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই।
সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ সম্প্রসারণের ফলে তরুণীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং উন্নত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বৃহত্তর সামাজিক প্রভাব নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।