সবকিছু ভুলে দেশের স্বার্থে সবাই কাজ করব : এনবিআর চেয়ারম্যান

‘সবকিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত তিন লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আজ সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
‘এবার রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে’ মন্তব্য করে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘গতবারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে। কিন্তু যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় আশা করছিলাম, তাতে একটু হোঁচট খেয়েছি গত কয়দিনের কাজকর্মে। এতে ব্যবসা বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে। তবে যা কিছু হয়েছে সবকিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব। যে কাজগুলো আছে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, ‘আমাদের আর এ ধরনের বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে যেতে হবে না আশা করি। অতীতে রেভিনিউ কর্মকর্তাদের যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে সামনে তারা কাজ করবেন।’
গতকাল বিকেল থেকেই কাস্টমস হাউজগুলো কাজ শুরু করছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্দোরনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এতে সবার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে, বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। যেহেতু আজ অর্থবছরের শেষ দিন। আজকে আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভিনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে, সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টা আমাদের চলছে।’
আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তিন লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আজ যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে, সেটার রিপোর্ট কাল পাব। এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে সময় লাগবে। সাধারনত জুন ক্লোজিংয়ে একটু সময় লাগে। প্রায় তিন সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে। এখন আমাদের রেভিনিউ রিপোর্টিং সিস্টেমেটিক, আমরা ম্যানুয়াল রিপোর্ট করি না। এনবিআর একটা ফিগার, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা ফিগার বলবে, সেটা আর নেই। সবার একই ফিগার।’
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, ‘আজকেও সময় আছে, আজকে তারা চেষ্টা করছে। কর কর্মকর্তাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে কারা করদাতা, কারা বছরের শেষে কর দেবে। এটা তারা জানে, আজ সব দপ্তর খোলা, ব্যাংকও খোলা। আমার ধারণা, আজকে ভালো পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে। সরকারি বিলগুলো অ্যাডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি হবে, এটা নিশ্চিত। একটা নির্দিষ্ট অংশের গ্রোথ হবে। আমরা যে রকম আশা করেছিলাম, হয়তো সেটার কাছাকাছি থাকবে।’