একনেকে ৫,৩৯৭ কোটি টাকার ছয় প্রকল্প অনুমোদন

পাঁচ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে ছয়টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। আজ মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্পের ব্যয়ে সরকারি তহবিল থেকে চার হাজার ৯১৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৪৫৩ কোটি টাকা মেটানো হবে। আর সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে। প্রকল্প ছয়টির মধ্যে তিনটি নতুন ও তিনটি সংশোধিত প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি দুটি সরকারি ও প্রকল্প সাহায্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সড়ক উন্নয়নসহ সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প রয়েছে। এ ছাড়া কৃষকের চাহিদাভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ও সরবরাহ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ জোরদারে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উপবৃত্তি : দেশের ৫৩ জেলার ২১৭ উপজেলায় অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৪২ লাখ ৪৪ হাজার দরিদ্র শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির আওতায় এনেছে সরকার। এ জন্য আজকের একনেক সভায় ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড প্রজেক্ট দ্বিতীয় পর্যায় (এসইএসপি)’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাসে কত টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হবে— সে বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ক্ষেত্রে মাসিক উপবৃত্তি হবে ১০০ টাকা। অষ্টম শ্রেণীর ক্ষেত্রে তা ১২০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে উপবৃত্তি হবে ১৫০ টাকা। আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মাসিক ১৫ টাকা করে টিউশন ফি দেওয়া হবে। নবম ও দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে তা ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষা ফি বাবদ বার্ষিক এককালীন ৭৫০ টাকা করে দেওয়া হবে।
গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার : রাজধানীর ১২টি এলাকায় চালু হচ্ছে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার। এ জন্য আজকের একনেক সভায় ‘ইনস্টলেশন অব প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর টিজিটিডিসিএল’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। মোট ৭১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৩৭ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা দেবে ৪৫ কোটি টাকা। বাকি দুই কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।