বাজেট
বাজেটে বিশাল ঘাটতি

২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এ বছর বাজেট ঘাটতি ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ।
গত বছর বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর প্রস্তাবিত বাজেটেই ঘাটতি বেড়েছে ১০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট ঘাটতির এ চিত্র তুলে ধরেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংশোধিত বাজেটে এ ঘাটতি আরো অনেক বাড়বে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা (জিডিপির ১ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র হতে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা (জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ) সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা হতে সংগৃহীত হবে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা (জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ) এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ১ শতাংশ)। তিনি বলেন, বৈদেশিক সহায়তার যে বিশাল পাইপলাইন গড়ে তোলা হয়েছে সেখান থেকে ব্যয় বাড়াতে পারলে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা যথেষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস এবং সেই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব যাতে অন্তত আগামী বছরে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংশোধিত বাজেট ঘাটতি :
সংশোধিত বাজেট ঘাটতির বিবরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা (জিডিপির ৫ শতাংশ)। এ ঘাটতির মধ্যে বৈদেশিক সূত্র হতে অর্থায়ন মূল প্রাক্কলন ২৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা থেকে কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা (জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ)।