সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ক্যাশিয়ার ও চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় মো. দুর্জয় আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় তার বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা।

বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার মামলার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। জসিম উদ্দিন আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন দাখিল করেন। এ আগের তারিখেও তিনি সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ এলাকার হোটেল লা-মেরিডিয়ানের পাশের সড়ক থেকে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ৫ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৭ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২০ জুলাই মামলার বাদী মো. দুর্জয় আহম্মেদ (২৮) কোটা আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করে বাড্ডা থানার মধ্যবাড্ডা ইউলুপের নিচে পোস্ট অফিস গলির মাথায় অবস্থান করছিলেন। সেসময় এজাহারে বর্ণিত আসামি, অর্থাৎ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় তাদের অনুসারীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করলে বাদীর দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া মাথার পেছনে আঘাত লেগে গুরুতর আঘাত পান। পথচারীদের সহায়তায় বাদীকে এ এম জেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠান। পরে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ওই ঘটনায় ২০ নভেম্বর বাড্ডা থানায় দুর্জয় আহম্মেদ বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারনামীয় ২১নং আসামি জসিম উদ্দিন আহমেদ।