ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রে : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘একথা বললে হয়ত অত্যুক্তি হবে না, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই। সেই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান নেপথ্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছিলেন। যাতে করে বিগত ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল।’
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম সংগঠনের’ উদ্যোগে ড. মারুফ মল্লিকের লেখা ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ : নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মঈন খান।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা হলো একটি ফুলের মালার সমারোহে, যে মালার এ একটি ফুল হলো বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাওতাল, ফিল, গোল, মুন্ডা। কাজেই বুঝতে হবে, আজকে কেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেছিলেন, সবাইকে একটি ফুলের মালায় তিনি করেছিলেন। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ফুল থাকবে, কিন্তু যখন বাংলাদেশের প্রশ্ন আসবে তখন সেটি হবে একটি ফুলের মালা সমন্বিত, সবার সমন্বয়ে। এই মালাটির নাম দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এর চেয়ে মহৎ ও চমকপ্রদ উদাহরণ আর কী হতে পারে আমার জানা নেই।’
দেশি-বিদেশি চক্রান্তে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে বিএনপির হাল ধরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে ড. মঈন খান বলেন, সেই পথ ধরেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি এগোচ্ছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী ও গ্রন্থের লেখক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারুফ মল্লিকসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।