দেশে যা কিছু ভালো সব দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। সংগ্রাম করে এই জায়গা এসেছে। এ দেশে যা কিছু ভালো সবকিছু দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যাদের কাল জন্ম হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে ভিন্ন অবস্থানে ছিল তাদের জানা উচিত বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো। কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। গুম খুন করে যারা ভাঙতে চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওয়ান-এলেভেনে নির্যাতন করে যে নেতাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তিনিই নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। নতুন করে সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। সবাই বিএনপির পক্ষে দাঁড়ান।
সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন তারই নম্বর মাইনাস হবে। তিনি বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে সেই গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। গণঅভ্যুত্থানে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন মুক্ত পরিবেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছে সেই ছাত্রজনতাকে অভিনন্দন জানাই।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে ভোটের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নির্বাচিত করা হবে। বিকাল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুরাতন স্টেডিয়ামে কাউন্সিলরদের ভোটগ্রহণ শেষে গণনার পর প্রকাশ করা হবে ফলাফল। এ সময় জেলা বিএনপির ২১টি ইউনিটের দুই হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।