কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়কে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কোচাশহর-ফাঁসিতলা ছয় কিলোমিটার সড়কের কয়েক জায়গায় খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।
এলাকাবাসী জানায়, কোচাশহর চারমাথা মোড় থেকে ফাঁসিতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কটি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক। গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ চারমাথায় যানজট হলে মহিমাগঞ্জ থেকে বগুড়া, দিনাজপুর ও রংপুরমুখী যানবাহনগুলো বিকল্প হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করে থাকে। এলজিইডি কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করে।
মহিমাগঞ্জ এলাকায় ভারী শিল্প কারখানা থাকায় এ সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। ব্যস্ত এ সড়কটিতে প্রতিদিন ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, নসিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চাঁদপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটির অনেক জায়গায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ধর্মা কাজীপাড়া অংশে সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। সড়কটি মেরামতে এলজিআইডি কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করেও কোনো সাড়া মিলছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ইজি বাইকচালক শাহাদুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি আগে রংপুর চিনি কলের আওতায় ছিল, তখন তারা নিয়মিত সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করত।
কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে সড়কটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি ভারি বর্ষণ হওয়ায় সড়কটিতে কয়েকটি খানখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি জরুরি ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড থেকে সড়কটির খানাখন্দ মেরামত করার চেষ্টা করব।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়কে খানাখন্দের বিষয়ে শুনেছি। সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।