বাগেরহাটে আসন বহালের দাবিতে আজও নির্বাচন অফিস ঘেরাও
বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিন (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। আসন ফিরে পেতে ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন এবং প্রধান গেট ঘিরে রাখেন। এ সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
বাগেরহাটবাসী প্রায় অর্ধশত বছর ধরে চারটি সংসদীয় আসনের সঙ্গে অভ্যস্ত। উপজেলার সীমানা পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন উপজেলা একত্রিত হওয়ায় তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, জেলায় চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটবাসীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন এবং চিতলমারি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল পৃথকভাবে রিট দাখিল করেন। হাইকোর্ট রিটের কারণে নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসন্ন দুর্গাপূজার কারণে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। তবে, নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি বজায় থাকবে। নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন চলবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনা করে হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ইতোমধ্যে দুটি রিট হয়েছে। আরও রিটের প্রস্তুতি চলছে। আদালতে আমরা ন্যায্য বিচার পাব বলে আশা করছি।
উল্লেখ, গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটবাসী আন্দোলনে নামে। নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেও ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে তিনটি আসনই বজায় রাখা হয়। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানান, এ আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাটের আসনের সীমানা হলো- বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিনের পুরোনো সীমানা অনুযায়ী চারটি আসন ছিল- বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া) বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)